Posts

বায়োফ্লক ট্যাংকের পানি ধারণ ক্ষমতা নির্ণয়ের ক্যালকুলেটর| Biofloc Tank Water Volume Calculator

Radius: ft Width: ft Length: ft Depth: ft Result: Liter আরো দেখুন: বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের অদ্যোপান্ত পর্ব-১। Biofloc in Bangladesh Part-1 পর্ব-২: বায়োফ্লকে সি এন রেশিও/ CN Ratio (C:N) বা কার্বন নাইট্রোজেন অনুপাত নির্ণয় এবং অ্যামোনিয়া নিয়ন্ত্রন।

পর্ব-২: বায়োফ্লকে সি এন রেশিও/ CN Ratio (C:N) বা কার্বন নাইট্রোজেন অনুপাত নির্ণয় এবং অ্যামোনিয়া নিয়ন্ত্রন

Image
C=CARBON, N=NITROGEN, CN ratio বা C:N   সিএন রেশিও হল কার্বন এবং নাইট্রোজেন এর অনুপাত। আমার জ্ঞানের ভান্ডারে যতুটুকু আছে তাই আপনারদের সাথে শেয়ার করব। যারা এই বিষয়ে বিজ্ঞ দয়া করে আপনার জ্ঞানটুকু শেয়ার করলে কৃতজ্ঞ থাকব। আপনাদের মতামত কমন্টে করে জানাবেন। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করতে গেলে সিএন রেশিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিক সিএন রেশিও বজায় রাখতে না পারলে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে শুধু তিক্ত অভিজ্ঞতাই বাড়বে। তাই শুরু করার আগে এই পদ্ধতির ট্যাকনিক্যাল বিষয় গুলো ভালো ভাবে বুঝে নিতে হবে। যারা মাছ চাষ করেন তারা পানিতে অ্যামোনিয়ার সমস্যায় পড়েননি এবং অ্যামোনিয়ার কারনে ক্ষতির সম্মু ক্ষী ন হননি এমন কাউকে পাওয়া দুস্কর। বায়োফ্লকে যেহেতু অধিক ঘনত্বে এবং পানি পরিবর্তন ছাড়াই মাছ চাষ করা হয় তাই সঠিক ব্যবস্থা না নিলে এই পদ্ধতি অ্যামোনিয়া তৈরীর ফ্যাক্টরির মত কাজ করে। এখন জেনে নিই ট্যাংকে কি ভাবে অ্যমোনিয়া তৈরী হয়। মাছের বৃদ্ধি ও বেঁচে থাকার জন্য আমরা খাদ্য প্রদান করি, উক্ত খাদ্যের উচ্ছিষ্টাংশ এবং মাছের মল মূত্র থেকে ট্যাংকে অ্যামোনিয়ার তৈরী হয়। এই অ্যামো নিয়া হেটেরোট্রফিক ব্যাকটে

বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের অদ্যোপান্ত পর্ব-১। Biofloc in Bangladesh Part-1

Image
বায়োফ্লক কি? বায়ো শব্দটি গ্রীক বায়োস থেকে এসেছে যার অর্থ জীবন এবং ফ্লক অর্থ আলতোভাবে লেগে থাকা কনার সমষ্টি, তাহলে এর অর্থ দাড়ায় আলতোভাবে লেগে থাকা জীবিত কনার সমষ্টি।  বায়োফ্লক পদ্ধতিতে জৈব বর্জ্যের পুষ্টি থেকে পুন ব্যবহারেযোগ্য খাবার তৈরী করা হয়। এক কথায় বলতে গেলে বায়োফ্লক হচ্ছে একটি টেকসই পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি যেখানে ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল, প্রোটোজোয়া, ইস্ট তৈরী মাইক্রো-এগ্রিগেট যা পানিতে উৎপন্ন নাইট্রোজেন গঠিত জৈব বর্জ্যকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে বিষাক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাস তৈরী প্রতিহত করে নিজেদের বংশ বৃদ্ধি করে (ফ্লক তৈরী করে)। ফ্লকে প্রচুর প্রোটির ও লিপিড রয়েছে যা মাছ ও চিংড়ির পুষ্টির যোগান দেয়। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে প্রোবায়োটিক কালচারের মাধ্যমে ফ্লক তৈরী করা হয়। কেন বায়োফ্লক? অল্প জায়গায় অধিক উৎপাদন খাবারের অপচয় প্রতিরোধ করে এফসিআর উন্নত করে নাইট্রোজেন গঠিত বর্জ্যকে মাইক্রোবিয়াল প্রোটিনে রূপান্তর করে পানিতে জৈব বর্জ্য জমা হওয়া প্রতিরোধ করে পানির দূর্গন্ধ দূর করে পানি পরিবর্তনের হার খুবই সামান্য বা শূণ্য রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে বয়োফ্লক ব্যা

স্বল্প খরচে নিজেই তেরী করুন মাছের মান সম্পন্ন খাবার

যারা হাতে খাবার বানিয়ে পুকুরে প্রয়োগ করতে চান তাদের জন্য মাছের খাদ্য তৈরির সাধারন ফর্মূলা: কার্প-(২৪-২৫%আমিষ) ১। অটোব্রান ----- ৩০ কেজি ২। ডিওআরবি ---- ৩০ কেজি ৩। সয়াবিন------- ৩৫ কেজি ৪। ফিসমিল ------ ৫ কেজি ( মোলাসেস ২ কেজি, লবন ২ কেজি, ভিটামিন প্রিমিক্স- ২৫০ গ্রাম - এগুলি পুষ্টি বিজ্ঞানে সাধারনত ধরা হয় না) তেলাপিয়া/পাঙ্গাস ( ২৮-২৬% আমিষ) ১। অটোব্রান ----- ২৫ কেজি ২। ডিওআরবি ---- ২৫ কেজি ৩। সয়াবিন- ------ ৪০ কেজি ৪। ফিসমিল ------ ১০ কেজি ( মোলাসেস ২ কেজি, লবন ২ কেজি, ভিটামিন প্রিমিক্স- ২৫০ গ্রাম এগুলি পুষ্টি বিজ্ঞানে সাধারনত ধরা হয় না)) শিং-মাগুর ( ৩২-৩০% আমিষ) ১। অটোব্রান ----- ২০ কেজি ২। ডিওআরবি ---- ২০ কেজি ৩। সয়াবিন- ------ ৪০ কেজি ৪। ফিসমিল ------ ২০ কেজি ( মোলাসেস ২ কেজি, লবন ২ কেজি, ভিটামিন প্রিমিক্স- ২৫০ গ্রাম; এগুলি পুষ্টি বিজ্ঞানে সাধারনত ধরা হয় না) চিংড়ি ( ৩৫-৩৩ % আমিষ) ১। অটোব্রান ----- ১৫ কেজি ২। ডিওআরবি ---- ১৫ কেজি ৩। সয়াবিন- ------ ৪০ কেজি ৪। এ্যাংকোর--------১০ কেজি ৪। ফিসমিল ------ ২০ কেজি ( মোলাসেস ২ কেজি, লবন ২ কেজি, ভিটামিন

বাগদা ও গলদা আহরণ ও আহরণ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা এবং বাজারজাতকরণ

বাগদা ও গলদা আহরণ ও আহরণ পরবর্তী ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব: চিংড়ি বাজারজাত করার পূর্বে এর গুণগতমান বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আহরণ ও আহরণ পরবর্তী ব্যবস্থাপনার ওপর চিংড়ির গুণগতমান ও বাজার মূল্য নির্ভর করে। আহরণ হতে প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রম শুরুর পূর্ব পর্যন্ত সঠিক পরিচর্যা করা অত্যন্তজরুরী ও প্রয়োজনীয়। বাগদা ও গলদা আহরণের পূর্বে অবশ্য করণীয় কাজসমূহ: প্রয়োজনীয় দক্ষ লোকবল সংগ্রহ করা; বাজার মূল্য সম্পর্কে খোজ খবর নেওয়া; প্লাষ্টিক ঝুড়ি, ঝাঁকি জাল,আটল, বরফ, ওজন করার জন্য দাঁড়ি-পাল্লা ইত্যাদি সংগ্রহ করা; আহরণপূর্বে চিংড়ির আকার সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া। বাগদা ও গলদা আহরণের সময় করনীয় বিষয়সমূহ: চিংড়ি আহরণে এমন মেস সাইজের জাল ব্যবহার করতে হবে যাতে প্রত্যাশিত আকারের চেয়ে ছোট চিংড়ি বা জুভেনাইল খুব সহজেই বের হয়ে যেতে পারে; ছোট আকারের চিংড়ি বা জুভেনাইল ধরা পড়লে তাড়াতাড়ি ছোট চিংড়িগুলো ঘেরে ছেড়ে দিতে হবে; নরম খোলসযুক্ত চিংড়ি ধরা রোধে অমাবস্যা বা পূর্ণিমার সাথে মিল রেখে আহরণ করতে হবে; ভোরে অথবা ঠান্ডা আবহাওয়ায় চিংড়ি আহরণ করতে হবে; আহরণের সময় চিংড়ি অধিক আঘাত পায়, অঙ্গ বিনষ্

প্রতি বছরই কি পুকুর শুকানো উচিৎ?

সাধারনতঃ মাছ চাষী বা মৎস্য বিশেষজ্ঞগণকে পুকুর কত দিন পর পর শুকানো উচিৎ বলে মনে করেন? জিজ্ঞাসা করলে স্বভাবতই আমরা বলি বা শুনি যে, অন্তত ২-৩ বছরে এক বার শুখানো উচিৎ! এই ২-৩ বছরের মাথায় শুকানোর যুক্তি হিসাবে বলি যে, পুকুর শুকালে অনেক পুষ্টি উপাদান বেরিয়ে যায়। কথাটা কিছুটা হলেও সত্য বলে ধরে নিলেও আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, পুকুর প্রতি বছরেই একবার শুকানো উচিৎ! এতে যদিও কিছুটা পুষ্টি পদার্থ পানিতে ভাসমান অবস্থায় থাকায় বেরিয়ে যায় তবুও বেশীর ভাগ পুষ্টি পদার্থ তলার কাদায়ই রয়ে যায়। পুকুর প্রতি বছর শুকাতে পারলে যে লাভ গুলি হতে পারে তা' হল- -পুকুরে জাল টেনে মাছ বিক্রয় করার পরেও বেশ কিছু পরিমান মাছ তলায় থেকেই যায় যেগুলি পুকুর সেচের মাধ্যমে চাষী বিক্রয় করে এক কালীন একটা অর্থ পেতে পারেন! যা চাষীর জন্য একটা ভাল সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করে; ( বিশেষ করে তেলাপিয়া, মৃগেলের পুকুরে এটি দেখা যায়) -পুকুরের পাড় ভাঙ্গা বা গর্ত থাকলে এগুলি মেরামত করা যায়; যাতে বন্যায় আক্রান্ত হওয়া বা মাছের পালিয়ে যাওয়া রোধ করা যায়; -পুকুরের তলায় যথেষ্ঠ আলো-বাতাস এবং রোদ পেয়ে তলার মাটির স্বা

পুকুরে পানিতে আয়রন সমাচার

অনেক পুকুরে অনেক সময় দেখা যায় যে, পানিতে আয়রন আছে! আয়রন যুক্ত পানি মাছের জন্য ক্ষতিকর কিনা বা কতটুকু, এ নিয়ে ভাবনা-চিন্তার যথেষ্ঠ অবকাশ আছে। আয়রন জনিত সরঃ  এটি সব সময়ই লালচে-বাদামী; এটির বর্ণ কখনই পাল্টায় না; -শুধু চাষীভাইরাই নন; অনেক শিক্ষিত মানুষও এটির সাথে ইউগ্লেনাকে মিশিয়ে ফেলেন! কারনঃ   যারা প্রায়শই আয়রন সম্বলিত ভূ-গর্ভস্থ পানি পাম্পের সাহায্যে তুলেন তাদের পুকুরেই এটি দেখা যায়; কিভাবে বুঝবেনঃ -এটির বর্ণ সব সময়েই লালচে-বাদামী এবং রোদ-ছায়া কোন সময়েই এর এই বর্ণ বদলায় না; -যদি এটি আয়রনের স্তর হয় তা'হলে স্তরের মধ্যে কোন কিছু চুবিয়ে দিলে আয়রন সেটির গায়ে লেগে উঠে আসে; এবং যে জায়গায় এটি চুবানো হয় সেই জায়গাটা ফাঁকাই থেকে যায়; আর মুঁদে যায় না! **কিন্তু ইউগ্লেনার স্তর কিন্তু মুঁদে যায়! এবং ইউগ্লেনার বর্ণ রাতে কিংবা ছায়াতে সবুজ হয়ে থাকে কিন্তু রোদ পেলে বাদামী-লাল বর্ণ ধারন করে ; যেটাকে অনেকে আবার আয়রনের স্তর ভেবে থাকেন! ক্ষতিকর দিকঃ -পুকুরের পানির দ্রবীভূত অক্সিজেন নিঃশেষ করে ফেলে; -মাছের হজম প্রক্রিয়া বাধা গ্র