Posts

Showing posts from February, 2019

প্রতি বছরই কি পুকুর শুকানো উচিৎ?

সাধারনতঃ মাছ চাষী বা মৎস্য বিশেষজ্ঞগণকে পুকুর কত দিন পর পর শুকানো উচিৎ বলে মনে করেন? জিজ্ঞাসা করলে স্বভাবতই আমরা বলি বা শুনি যে, অন্তত ২-৩ বছরে এক বার শুখানো উচিৎ! এই ২-৩ বছরের মাথায় শুকানোর যুক্তি হিসাবে বলি যে, পুকুর শুকালে অনেক পুষ্টি উপাদান বেরিয়ে যায়। কথাটা কিছুটা হলেও সত্য বলে ধরে নিলেও আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, পুকুর প্রতি বছরেই একবার শুকানো উচিৎ! এতে যদিও কিছুটা পুষ্টি পদার্থ পানিতে ভাসমান অবস্থায় থাকায় বেরিয়ে যায় তবুও বেশীর ভাগ পুষ্টি পদার্থ তলার কাদায়ই রয়ে যায়। পুকুর প্রতি বছর শুকাতে পারলে যে লাভ গুলি হতে পারে তা' হল- -পুকুরে জাল টেনে মাছ বিক্রয় করার পরেও বেশ কিছু পরিমান মাছ তলায় থেকেই যায় যেগুলি পুকুর সেচের মাধ্যমে চাষী বিক্রয় করে এক কালীন একটা অর্থ পেতে পারেন! যা চাষীর জন্য একটা ভাল সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করে; ( বিশেষ করে তেলাপিয়া, মৃগেলের পুকুরে এটি দেখা যায়) -পুকুরের পাড় ভাঙ্গা বা গর্ত থাকলে এগুলি মেরামত করা যায়; যাতে বন্যায় আক্রান্ত হওয়া বা মাছের পালিয়ে যাওয়া রোধ করা যায়; -পুকুরের তলায় যথেষ্ঠ আলো-বাতাস এবং রোদ পেয়ে তলার মাটির স্বা

পুকুরে পানিতে আয়রন সমাচার

অনেক পুকুরে অনেক সময় দেখা যায় যে, পানিতে আয়রন আছে! আয়রন যুক্ত পানি মাছের জন্য ক্ষতিকর কিনা বা কতটুকু, এ নিয়ে ভাবনা-চিন্তার যথেষ্ঠ অবকাশ আছে। আয়রন জনিত সরঃ  এটি সব সময়ই লালচে-বাদামী; এটির বর্ণ কখনই পাল্টায় না; -শুধু চাষীভাইরাই নন; অনেক শিক্ষিত মানুষও এটির সাথে ইউগ্লেনাকে মিশিয়ে ফেলেন! কারনঃ   যারা প্রায়শই আয়রন সম্বলিত ভূ-গর্ভস্থ পানি পাম্পের সাহায্যে তুলেন তাদের পুকুরেই এটি দেখা যায়; কিভাবে বুঝবেনঃ -এটির বর্ণ সব সময়েই লালচে-বাদামী এবং রোদ-ছায়া কোন সময়েই এর এই বর্ণ বদলায় না; -যদি এটি আয়রনের স্তর হয় তা'হলে স্তরের মধ্যে কোন কিছু চুবিয়ে দিলে আয়রন সেটির গায়ে লেগে উঠে আসে; এবং যে জায়গায় এটি চুবানো হয় সেই জায়গাটা ফাঁকাই থেকে যায়; আর মুঁদে যায় না! **কিন্তু ইউগ্লেনার স্তর কিন্তু মুঁদে যায়! এবং ইউগ্লেনার বর্ণ রাতে কিংবা ছায়াতে সবুজ হয়ে থাকে কিন্তু রোদ পেলে বাদামী-লাল বর্ণ ধারন করে ; যেটাকে অনেকে আবার আয়রনের স্তর ভেবে থাকেন! ক্ষতিকর দিকঃ -পুকুরের পানির দ্রবীভূত অক্সিজেন নিঃশেষ করে ফেলে; -মাছের হজম প্রক্রিয়া বাধা গ্র

পানির পি.এইচ নিয়ন্ত্রন

Image
মাছ চাষের জন্য আদর্শ পিএইচ মান ৭-৮.৫ পুকুরের পানির পিএইচ এর মান এর থেকে বেড়ে গেলে পানি ক্ষারীয় কমে গেলে পানি অম্লীয় হয়ে যায়। এর প্রভাব মাছের দেহে ও রক্তে দেখা যায়। অম্লীয় পানিতে মাছের দেহে অতিরিক্ত পরিমানে মিউকাস অপর পক্ষে ক্ষারীয় পানিতে মাছের দেহ খসখসে হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং মাছ সহজে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। পিএইচ এর তারতম্য সাধারনত রোদ্রময় দিন, ফাইটোপ্লাংটনের প্রাচুর্য, ক্যালসিয়াম-ম্যাগনেসিয়াম আয়নের উপস্থিতি, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, অক্সিজেন ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। পি.এইচ স্কেল প্রতিকার: পিএইচ কমে গেলে: ১. পানির পিএইচ বাড়ানোর জন্য চুন ২৫০-৫০০ গ্রাম/শতক হিসেবে প্রয়োগ করতে হবে। এতে পিএইচ কাঙ্খিত মাত্রায় না আসলে ৭ দিন পর আবার প্রয়োগ কারতে হবে। পিএইচ বেড়ে গেলে: ১. পিএইচ কমানোর জন্য তেঁতুল বিঘা প্রতি ১.৫-২ কেজি পানির সাথে গুলিয়ে ছেকে নিয়ে শুধু মাত্র দ্রবণটুকু প্রয়োগ করতে হবে, ২. তেতুঁলের অভাবে তেতুঁলের ঢাল কেটে পানিতে ডুবিয়ে রেখে পর দিন তুলে ফেলতে হবে। ৩. নলকূপের পানি দেয়া যেতে পারে